স্বদেশ ডেস্খ:
বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ছয় ধাপ পিছিয়ে ১০৬-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া মাত্র ৪১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। যেখানে সূচকের শীর্ষে থাকা দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯০টির বেশি দেশে আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা দ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের প্রকাশিত পাসপোর্ট সূচকে এ তথ্য জানা গেছে।
এক যুগের বেশি সময় ধরে পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করে আসা হেনলির এই সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টধারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১তম। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে একই স্থানে আছে লেবানন ও সুদান।
বছরে চারবার এই সূচক প্রকাশ করে হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স। জানুয়ারিতে তাদের পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। এর পর এপ্রিলে একধাপ উন্নতি হয়ে ১০০তম অবস্থানে উঠে আসে। জুলাইয়ে ছয় ধাপ পিছিয়ে এখন অবস্থান ১০৬তম। বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগাম ভিসা ছাড়া আফ্রিকার ১৬টি, ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১১টি, অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ছাড়া ওশেনিয়ার ৭টি, এশিয়ার ৬টি এবং দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশে প্রবেশ করা যায়। তবে ইউরোপের কোনো দেশে আগাম ভিসা ছাড়া যাওয়া যায় না।
পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির তথ্যের ভিত্তিতে এবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশকে নিয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের এই সূচক তৈরি করেছে দ্য হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স।
এই সূচকে টানা তৃতীয়বার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে জাপান। দেশটির পাসপোর্ট দিয়ে আগাম ভিসা ছাড়াই ১৯৩টি দেশ ও অঞ্চলে ভ্রমণ করা যায়। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ১৯২। অর্থাৎ আগাম ভিসা ছাড়া জাপানি পাসপোর্টধারীরা ১৯২ দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের পাসপোর্ট সূচকে এবারও শীর্ষস্থানে থাকা তিন দেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানি। দেশ দুটির পাসপোর্ট থাকলে আগাম ভিসা ছাড়া ১৯১টি দেশে ভ্রমণ করা যায়